একটি তালাকের কাহিনি ও অন্যান্য গল্প (হার্ডকভার)

280.00 Original price was: ৳280.00.210.00Current price is: ৳210.00.
25% OFF
people are viewing this right now

মুনীর চৌধুরীর ৯টি ছোটগল্প নিয়ে এই বই। লেখকের গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও শ্লেষাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি গল্পগুলোকে বিশিষ্টতা দান করেছে। সমাজের নানা অসংগতির চিত্র নিয়ে এসব গল্প সমাজের দর্পণ হয়ে হাজির হয়েছে আমাদের সামনে।
জীবদ্দশায় মুনীর চৌধুরীর কোনো গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। তিনি ছোটগল্প লিখেছেনও কম। সাহিত্যজীবনের প্রথম দিকে তরুণ বয়সে লেখা এসব গল্প। ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৮ সাল—মোটামুটি এই কয়েক বছর তাঁর ছোটগল্প লেখার সময়। গল্পগুলো ওই সময় প্রকাশিত হয়েছিল বিভিন্ন পত্রিকায়।
সংখ্যার বিচারে অধিক না হলেও সেখানে তাঁর প্রতিভার পরিচয় প্রবলভাবে উপস্থিত। মুনীর চৌধুরীর লেখা ৯টি গল্প নিয়ে এই বই। সমাজের শোষণ-পীড়ন ও বঞ্চনা, কুসংস্কার ও ধর্মের অপব্যবহার, সমাজে নারীর ভঙ্গুর অবস্থান, দুর্ভিক্ষকালে নিরন্ন মানুষের অসহায়ত্ব এবং নর-নারীর হূদয়ঘটিত সম্পর্ক—গল্পগুলোর প্রধান উপজীব্য।
প্রগতিশীল সমাজচেতনার পাশাপাশি লেখকের কৌতুকবোধ আমাদের সমসাময়িক কথাসাহিত্যের ধারায় মুনীর চৌধুরীর গল্পগুলোকে অনন্যতা দিয়েছে। নাট্যকার ও সাহিত্যসমালোচক পরিচয়ের বাইরে পাঠক গল্পকার মুনীর চৌধুরীকে আবিষ্কার করবেন এই বইয়ে

Guaranteed Checkout
Image Checkout
Book Author

Format

Publication

Page Count

88

ISBN

9789849806264

Published Year

,

About Author

আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী (২৭ নভেম্বর ১৯২৫ – ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১) একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী, বাগ্মী এবং শহিদ বুদ্ধিজীবী. তিনি তৎকালীন ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন. তাঁর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানাধীন গোপাইরবাগ গ্রামে. তিনি ছিলেন ইংরেজ আমলের একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরীর চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়. কবীর চৌধুরী তাঁর অগ্রজ, ফেরদৌসী মজুমদার তাঁর অনুজা. ১৯৪৯-এ লিলি চৌধুরীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন. মুনীর চৌধুরী ১৯৪১ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল (বর্তমান ঢাকা কলেজ) থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাস করেন এবং ১৯৪৩ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় বিভাগে আইএসসি পাস করেন. এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স (১৯৪৬) এবং মাস্টার্স (১৯৪৭) পাস করেন, উভয় ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় শ্রেণীতে. তিনি ছিলেন সলিমুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র. বক্তৃতানৈপুণ্যের সুবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনের প্রথম বছরেই, ১৯৪৩ সালে, হলের সেরা বক্তা হিসেবে প্রোভোস্ট্স কাপ জেতেন. ১৯৪৬ সালে নিখিল বঙ্গ সাহিত্য প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক সংখ্যক পুরস্কার জেতেন. ১৯৪৯ সালে মুনীর চৌধুরী খুলনার ব্রজলাল কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন. সেখানে তিনি কিছুদিন বাংলাও পড়িয়েছিলেন. ১৯৬৯ সালে মুহম্মদ আবদুল হাই অকালে মৃত্যুবরণ করলে তাঁর স্থানে মুনীর চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান হন. ১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত একটি ভাষাতাত্ত্বিক সম্মেলনে যোগ দিতে যান. মুনীর চৌধুরী ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে পাকিস্তান সরকারের হাতে বন্দী হন. বন্দী থাকা অবস্থায় তিনি তাঁর বিখ্যাত নাটক কবর রচনা করেন (১৯৫৩). পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের যে কোন ধরনের সংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার. ১৯৬৬ সালে রেডিও ও টেলিভিশনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান প্রচারে পাকিস্তান সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করেন. ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান সরকার বাংলা বর্ণমালাকে রোমান বর্ণমালা দিয়ে সংস্কারের উদ্যোগ নিলে তিনি এর প্রতিবাদ করেন. ১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময়ে সে আন্দোলনের সমর্থনে সিতারা-ই-ইমতিয়াজ খেতাব বর্জন করেন. ১৯৭১ সালের মার্চে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুনীর চৌধুরী ফিরে আসার কিছুকাল পরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়. তাঁর কিশোর ছেলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে চলে যায়. এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আদেশে মে-জুন মাসে ইংরেজি বিভাগের প্রধান হিসেবে এবং জুলাই মাস থেকে কলা অনুষদের ডীন হিসেবে কাজ করেন. ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর মুনীর চৌধুরীকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের সহযোগী আল-বদর বাহিনী তাঁর বাবার বাড়ি থেকে অপহরণ করে ও সম্ভবত ঐদিনই তাঁকে হত্যা করে. তবে এর কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায় নি.

Language

Reviews

There are no reviews yet.

Recently Viewed Products