Format | |
---|---|
Publication | |
Page Count | 374 |
ISBN | 9789848765807 |
Published Year | |
About Author | বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বাংলাদেশের একজন অন্যতম শিক্ষাবিদ, আইনজীবী ও বিচারক. ১৯২৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন. তাঁর পিতা মৌলভী মুহাম্মদ জহির উদ্দীন ছিলেন একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং আইনজীবী. শৈশব থেকেই রাজনৈতিক বিষয়াদি ও সংস্কৃতির দিকে তাঁর ঝোঁক ছিল. ১৯৪৭ এ দেশভাগের পর তাঁরা তৎকালীন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পরবর্তীতে রাজশাহীতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে বি.এ. (সম্মান) এবং ১৯৫১ সালে এম.এ. পাস করেন. এরপর ১৯৫৮ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ইতিহাস বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন. তাঁর কর্মজীবনের শুরু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পদে যোগ দিয়ে. এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন. ১৯৬৪ সালে ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়ের. সহকারী এডভোকেট জেনারেল, হাইকোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্টসহ অন্যান্য পদে দায়িত্ব পালন করার পর ১৯৭৬ সালে তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হন. ১৯৮৫ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যোগ দেন. ১৯৯৫ সালে তিনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন. ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান একাধারে একজন আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ এবং অভিধানপ্রণেতা. তিনি একজন ভাষা সৈনিক; ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন. বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এর বই সমূহ ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগেরই বহিঃপ্রকাশ. তিনি উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষা প্রবর্তনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন. বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের বই সমূহ হলো ‘রবীন্দ্র সম্বন্ধে সঞ্জনা ও পার্থক্য বিচার (১৯৬৮)’, ‘যথা-শব্দ (১৯৭৪)’, ‘কোরআন সূত্র (১৯৮৪)’, ‘ভাষার আপন পর (২০১২)’ ইত্যাদি. তাঁর রচিত প্রবন্ধগ্রন্থের সংখ্যা ৪০টি. সাহিত্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কৃতিত্বের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরষ্কার (১৯৮৪), একুশে পদক (২০০৭) সহ আরো বেশ কিছু সম্মাননায় ভূষিত হন. বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এর বই সমগ্র পাঠকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে. ২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন. |
Language |
যার যা ধর্ম: বাংলা ভাষায় প্রথম ধর্ম অভিধান (হার্ডকভার)
‘যার যা ধর্ম: বাংলা ভাষায় প্রথম ধর্ম অভিধান’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ বিভিন্ন ধর্ম-সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সহমর্মিতা ও মৈত্রীর সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য পরস্পরের ধর্ম সম্পর্কে জানার কোনো বিকল্প নেই। বাংলা ভাষার প্রথম এই ধর্ম অভিধানে পৃথিবীর প্রধান ও অপ্রধান বিভিন্ন ধর্মের মূলকথা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, আচার-প্রথা, ধর্মীয় পুরুষদের জীবনী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও তীর্থস্থান, মোট কথা ধর্মসংশ্লিষ্ট প্রায় সব বিষয়ে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিমূলক আলোচনা অন্তভুর্ক্ত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মূল উৎস থেকে তথ্য নিয়ে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এই প্রয়োজনীয় ও শ্রমসাধ্য কাজটি করেছেন। ইতিপূর্বে যথাশব্দ, কোরানসূত্র ইত্যাদি গ্রন্থের মাধ্যমে তিনি অভিধানকার হিসেবে তাঁর কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। সব শ্রেণীর পাঠকের জন্য অত্যন্ত সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা এবং প্রায় দুই হাজার ভুক্তিসমৃদ্ধ এই কোষগ্রন্থ আশা করি প্রত্যেক বাঙালি পাঠকের কাছে একটি অবশ্যপাঠ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
-
Free worldwide shipping on all orders over 1000 BDT
-
Delivers in: 3-7 Working Days Shipping & Return
Reviews
There are no reviews yet.