আনিসুল হকের ৫ টি সেরা রাজনৈতিক উপন্যাস (হার্ডকভার)

3,050.00 Original price was: ৳3,050.00.2,454.00Current price is: ৳2,454.00.
20% OFF
people are viewing this right now

‘যারা ভোর এনেছিল’ বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
কলকাতার সিরাজউদ্দৌলা ছাত্রাবাসে শেখ মুজিব ডাকলেন সবাইকে। ব্রিটিশরা বিদায় নিচ্ছে, পাকিস্তান ও ভারত স্বাধীন হচ্ছে। কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে শেখ মুজিব ঝাঁপিয়ে পড়লেন রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে। সেই আন্দোলনে আছেন তরুণতর তাজউদ্দীন আহমদও। ঢাকায় আসেন মওলানা ভাসানী, আসেন সোহরাওয়ার্দী। তরুণ মুজিব এরই মধ্যে জনপ্রিয়, তিনি বারবার গ্রেপ্তার হন, কারাগারে যান, মুক্তি পাওয়ার জন্য দাসখতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। ওদিকে টুঙ্গিপাড়ায় সন্তানদের আগলে রাখেন রেনু। তিনি তাঁর স্বামীকে উৎসর্গ করেছেন দেশের জন্য। এমনই প্রেক্ষাপটে পূর্ব বাংলায় আসে ১৯৫২ সাল, আসে একুশে ফেব্র“য়ারি। যাঁরা ইতিহাস নির্মাণ করেছেন, তাঁরাই এই উপন্যাসের চরিত্র। ইতিহাসে সন-তারিখ থাকে, থাকে না ব্যক্তিমানুষের হৃদয়ের সংবাদ। যারা ভোর এনেছিল একটা ট্রিলজির প্রথম খণ্ড, যা পাঠকের সামনে রক্ত-মাংসের মানুষ হিসেবে হাজির করবে আমাদের ইতিহাস-নির্মাতাদের।
এ উপন্যাস নিয়ে কথাশিল্পী মুহম্মদ জাফর ইকবালে মন্তব্য, ‘যাঁরা ভোর এনেছিলেন, তাঁরা ছিলেন শ্রদ্ধা আর সম্মানের আড়ালে ঢাকা পড়ে থাকা দূরের মানুষ। আনিসুল হক গভীর মমতায় তাঁদেরকে আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি নিয়ে এসেছেন।’

ভূমিকা এটি উপন্যাস, ইতিহাসগ্রন্থ নয়; যদিও ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ণনার সময় সত্যতা রক্ষার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে।এই কাহিনি রচনার সময় বিভিন্ন লেখকের নানা বই থেকে উদার হাতে গ্রহণ করা হয়েছে, কোথাও কোথাও উদ্ধৃত করা হয়েছে অবিকল, কোথাও বা পুনর্লিখন করা হয়েছে মাত্র। সবার কাছে ঋণ স্বীকার করছি আন্তরিকভাবে। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে মূল্যবান অর্জন স্বাধীনতা। তা যে এক দিনে আসেনি, এক বছরেও নয়-এই বই রচনাকালে কথাটা বারবার মনে হয়েছে। এই বইয়ে আমরা কেবল ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আমাদের আরও বহু পথ পাড়ি দিতে হবে। আপনাদের কাছ থেকে উৎসাহ পেলে আমার জন্য কাজটা সহজ হবে। পরামর্শ, সংশোধনী, তথ্য পাঠাতে পারেন ই-মেইলে।
ধন্যবাদসহ
আনিসুল হক

‘আলো-আঁধারের যাত্রী’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ শেখ মুজিবুর রহমান মিছিলের নেতৃত্ব দেন। ভুখা মিছিল। সরকারের পতন ঘটে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে। শেখ মুজিব মন্ত্রী হন। কিন্তু ক্ষমতায় কে থাকবে, না থাকবে, তা আসলে কে নির্ধারণ করে? ওয়াশিংটন নাকি পিকিং? আমেরিকার স্বার্থে দাবার চাল বদলে যায়। কাল মন্ত্রী, আজ আক্ষরিক অর্থেই পথে বসে শেখ সাহেবের পরিবার। বাসাভাড়া কে দেবে তাঁদের? তাজউদ্দীনের। বিয়ে হয় লিলির সঙ্গে, বেলি ফুলের মালা বিনিময় করে। ছয় দফা ঘোষণা করেন মুজিব। মুজিব আর তাজউদ্দীনকে জেলে পোরা হয়। রাজপথে জীবন বাজি রেখে লড়াইয়ে নামে জনতা।
যে কথা বলে রাখা দরকারঃ এই উপন্যাসের কাহিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত। এটা উপন্যাস। ইতিহাস নয়।
প্রথমা প্রকাশনের আরও দুটো উপন্যাস- যারা ভোর এনেছিল (২০১২) এবং উষার দুয়ারের (২০১৩) আগ্রহী পাঠকেরা পড়ে নিতে পারেন।
এই কাহিনি রচনার সময় বিভিন্ন বই থেকে উদার হতে গ্রহণ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও তা সরাসরি উদ্ধতির পর্যায়েই চলে গেছে। কোথাও-বা পুনর্লিখন করা হয়েছে মাত্র। বইটা উপন্যাস বলে তথ্যসূত্র দেওয়া হয়নি। আশা করি বিজ্ঞ ও বিবেচক পাঠক এই ব্যাপারটিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যে এক দিনে আসেনি, এক বছরেও নয়, এই কাহিনি তা মনে করিয়ে দেবে আবারও।
আমাদের স্বাধীনতার মহান যাত্রী, অভিযাত্রী ও অধিনায়কদের জানাই সালাম
বিনীত
আনিসুল হক বইয়ের শেষের কথাঃ শেখ মুজিব বললেন, ‘এই যে আমি গাড়ি চালাচ্ছি, তুমি আমার পাশে, এইটার একটা মানে আছে। আমি গাড়ি চালাব, তুমি আমার পাশে থাকবা। কী বুঝলা?’
তাজউদ্দীনের শরীর কাঁটা দিয়ে উঠল। তিনি বোধ হয় একটা কিছু বুঝতে পারলেন। তিনি বোধ হয় জিনিসটা ঠিক বুঝতেও পারলেন না।
শেখ মুজিব বললেন, ‘আইয়ুব খানের মার্শাল ল কেন? তোমার কী মনে হয়?’ তাজউদ্দীন বললেন, ‘সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থরক্ষার জন্য।’
শেখ মুজিব বললেন, ‘সোজা বাংলায় বলি। বাংলার মানুষকে চিরদিন পাঞ্জাবিদের গোলাম করে রাখবার জন্য। এটা আমরা হতে দিব না।’

উষার দুয়ারে’ ফ্ল্যাপে লেখা কথাঃ পুলিশ ভেঙে ফেলল ১৯৫২ সালের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি। শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পেলেন ফরিপুর কারাগার থেকে অনশন ধর্মঘট করার পর। তাঁর আব্বা তাঁকে নিয়ে গেলেন গ্রামের বাড়িতে। সেখানেই মুজিব জানতে পারলেন তাঁর নেতা সোহরাওয়ার্দীর মনোভাব- বাঙালিদেরও উর্দু শিখতে হবে। এবার কী করবেন মুজিব? তাজউদ্দীনরা ভাবছেন, একটা আলাদা দল করতে হবে। গণতন্ত্র দল গঠনের তৎপরতার সঙ্গে খানিকটা যুক্ত থাকলেন তিনি। মওলানা ভাষাণী কারাগারে। সেখান থেকে শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়া, তাজউদ্দীনের আওয়ামীতে যোগ দেওয়া, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, এ কে ফজলুল হকের প্রধানমন্ত্রী হওয়া, আর শেখ মুজিবের মন্ত্রিত্ব লাভ এবং মন্ত্রীর বাড়ী থেকে সোজা জেলযাত্রা। তিনটি শিশুসন্তান নিয়ে রেনুর অকূলপাথারে পড়ে যাওয়া।
রাজনীতির ডামাডোল ওলটপালট করে দেয় ব্যক্তিমানুষেরও জীবন।এই রাজনীতির গতি-প্রকৃতি কেবল একটি দেশের নেতা বা জনগণ নির্ধারণ করে না, তা নির্ধারণের চেষ্টা চলে ওয়াশিংটন থেকেও। ব্যাঙ্গামাআর ব্যাঙ্গামি তো তা-ই বলতে চায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানুষের ইচ্ছাই কি জয়ী হয় না?
ভূমিকা যারা ভোর এনেছিল বেরিয়েছিল ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এবার বেরুচ্ছে উষার দুয়ারে। এটি আসলে যারা ভোর এনেছিল উপন্যাসের পরবর্তী পর্ব। আগের বইটির মতোই এই কাহিনি রচনাকালে বিভিন্ন বই থেকে সাহায্য নেওয়া হয়েছে ব্যাপকভাবে। কোথাও কোথাও নেওয়া হয়েছে একেবারে দুহাতে, কোথাও করা হয়েছে পুনর্লিখন। এবার সবচেয়ে বেশি গ্রহণ করা হয়েছে ২০১২ সালে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্নজীবনী থেকে।
তার পরও বলব, এই বই উপন্যাস,ইতিহাস নয়। বাংলাদেশের নামে এই প্রিয় দেশটি আমরা কীভাবে পেলাম, কারা ছিলেন আমাদের স্বাধীনতার ভোরের কারিগর, কেমন মানুষ ছিলেন তাঁরা- ইতিহাসের নির্জীব শুষ্ক মানুষ নয়, জীবন্ত মানুষ-এই কাহিনীতে তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
যারা ভোর এনেছিল প্রকাশের পর পাঠকের বিপুল সাড়া আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আপনাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
আনিসুল হক
‘এই পথে আলো জ্বেলে’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ বেগম মুজিব দাওয়াত করেছেন কয়েকজনকে। কিশোর কামাল সেতার বাজিয়ে শোনাল। শেখ মুজিব গান ধরলেন, ভাটিয়ালি গান।
ধানমন্ডির বাসায় বসে কামরুদ্দীন আহমদ সে-স্মৃতি চারণ করছেন যখন, তখন শেখ মুজিব কারাগারে। ছয় দফা দেওয়ার পর আইয়ুব খান তাঁকে একটার পর একটা মামলা দিয়ে বন্দী করে রেখেছে। কিন্তু দেশের মানুষ রক্তের দামে ছয় দফা দাবিকে অপরিহার্য করে তুলছে।
তাজউদ্দীন আহমদসহ নেতারা কারাগারে। মওলানা ভাসানী অসুস্থ, তাঁর জন্য খাবার রেঁধে নিয়ে যাচ্ছেন রেনু। ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে আক্দ হলো শেখ হাসিনার। ছোট্ট রাসেল কারাগারে আব্বার গলা ধরে বলতে লাগল, ‘আব্বা, বালি চলো।’
এক মধ্যরাতে সৈন্যরা মুজিবকে কারাগার থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে অজানার দিকে। মুজিব কারাগারের সামনের রাস্তা থেকে একমুঠো ধুলো নিয়ে বললেন, আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি। দেওয়া হলো আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। প্রতিবাদে জেগে উঠল সারা দেশ। মওলানা ভাসানী বললেন, খামোশ! ছাত্ররা দিল এগারো দফা। সমগ্র দেশ ফুঁসে উঠল অগ্নিগিরির মতো। মুজিব প্যারোলে মুক্ত হচ্ছেন—এ খবর শুনে সন্তানদের নিয়ে মুজিবের কাছে ছুটে গেলেন রেনু, ‘খবরদার, তুমি প্যারোলে মুক্তি নিবা না, জামিন নিবা না!’

Guaranteed Checkout
Image Checkout
Book Author

Format

Publication

Page Count

1350

Published Year

,

About Author

আনিসুল হক, বাংলাদেশে গত শতাব্দীর আশির দশকে আবির্ভূত হওয়া একজন প্রখ্যাত কবি, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও সাংবাদিক. কবিতা, গল্প, উপন্যাস, গদ্যকার্টুন, রম্যরচনা, ভ্রমণকাহিনী, শিশুসাহিত্যসহ সাহিত্যের নানা ক্ষেত্রে রয়েছে তার সাবলীল বিচরণ. বর্তমানে বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক এবং কিশোর আলোর সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন. আনিসুল হকের জন্ম ১৯৬৫ সালের ৪ মার্চ নীলফামারীতে. শিশু মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক বাবার অনুপ্রেরণায় ছোটবেলা থেকেই আগ্রহ জন্মেছিলো লেখালেখি আর ছবি আঁকায়. ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সাহিত্যজগতে প্রবেশ করেন প্রথম কবিতার বই ‘খোলা চিঠি সুন্দরের কাছে’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে. আনিসুল হক এর বই প্রকাশের কালটি ছিলো উত্তাল স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের সময়. আনিসুল হক এর বই সমূহ প্রেমের প্রতি পক্ষপাত করলেও একইসাথে সেসময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার চিত্রও ফুটিয়ে তুলেছে. তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘আমি আছি আমার অনলে’, ‘আসলে আয়ুর চেয়ে বড় সাধ তার আকাশ দেখার’, এবং ‘জলরংপদ্য’. মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘মা’, আনিসুল হক এর বই সমগ্র এর মধ্যে পাঠকের মনে সবচেয়ে বেশি দাগ কেটেছিল. এছাড়াও ‘বীর প্রতীকের খোঁজে’, ‘নিধুয়া পাথার’, ‘আয়েশামঙ্গল, খেয়া’, ‘ফাঁদ’, ‘বেকারত্বের দিনগুলিতে প্রেম’, ‘ভালোবাসা আমি তোমার জন্য কাঁদছি’, ‘ফাল্গুন রাতের আঁধারে’ তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস. বিভিন্ন স্বনামধন্য পত্রিকার সম্পাদকের ভূমিকা পালন করেছেন দীর্ঘদিন, এখনও লিখে যাচ্ছেন পত্রিকার কলাম. লিখেছেন বেশ কিছু টেলিভিশন নাটক ও সিনেমার চিত্রনাট্যও. কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন বাংলা সাহিত্যের আধুনিক এই লেখক.

Language

Reviews

There are no reviews yet.

Recently Viewed Products