ফিতনায়ে দাজ্জাল
গ্রন্থটির লেখার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে সতর্ক ও সচেতন করা. মুসলমান ভাইদেরকে আল্লাহ তাআলার দিকে মনোনিবেশ করার জন্য আহবান করা এবং ওই ফেতনার মুকাবেলা করার জন্য উৎসাহ প্রদান যা সত্য ও করুণাময় আল্লাহর বিরুদ্ধে এবং প্রত্যাখ্যাত ও অভিশপ্ত শয়তানের সমর্থনে ‘অন্ধকার দেবতা’-র নেতৃত্বে সংঘটিত হবে. মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভারসাম্যহীন স্বভাবের অধিকারী মানসিকভাবে অসুস্থ ও অস্বাভাবিক এবং উন্নত জাতি (!) ‘ইহুদি সম্পদ্রায়’ কর্তৃক মানবজাতিকে মহান আল্লাহ তাআলার পথ হতে বিভ্রান্ত করতে এবং শয়তানের অমানবিক পথে পরিচালিত করতে যে অভিনব প্রশাসনিক পদ্ধতি এবং মন্দ কর্মের ধারাবাহিকতা সম্পর্কে পরিচালিত এই গবেষণার উদ্দেশ্য হলো এই দুষ্ট প্রচেষ্টাকে প্রকাশ করে দেওয়া. আরও একটি উদ্দেশ্য হলো এই কিতাবের সকল পাঠক যেন আসন্ন পরবর্তী সময়ের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেন. তারা সেসময় আসার পূর্বেই শয়তানের প্রহরীদের বিরুদ্ধে দয়াময় আল্লাহর পক্ষের সৈন্যবাহিনীর সাথে মিলেমিশে মুজাহিদ হতে পারেন যখন আমরা নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের তথা দাজ্জালের বিশ্বব্যাপী অশুভ ব্যবস্থা কাছে ধরা পড়ে যাবো. তাই আমাদের সজাগ হওয়া উচিত. এখনই সময় আমাদের সজাগ হওয়ার সতর্ক হওয়ার. আমাদের সজাগ হওয়া উচিত সেসময় আসার আগেই যখন আমাদেরকে ঘুমের ঘরে হত্যার মাধ্যমে সর্বদার জন্য ঘুমের ব্যবস্থা করে দেবে. শত্রুরা আমাদেরকে দীন এবং ইসলাম হতে দূরে সরিয়ে দিতে চায়. আমাদেরকে অবশ্যই সর্বদা ধর্মীয় শিক্ষায় নিয়োজিত থাকা উচিত. আর শত্রুদের নিক্ষেপ করা গুলিকে তাদের দিকেই উল্টো নিক্ষেপ করে আমাদের ওই সমস্ত ভাইদেরকেও মুসলমান বানানোর চেষ্টা করতে হবে যারা দীন থেকে দূরে সরে গেছে. যাদের প্রতিটি কদম উঠতো দাজ্জালের অশুভ ছায়া হতে বেঁচে থেকে আল্লাহর রহমতের সন্ধানে…