মোহনা (হার্ডকভার)

240.00 Original price was: ৳240.00.215.00Current price is: ৳215.00.
10% OFF
people are viewing this right now

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
এই উপন্যাসের কাহিনির কাল একাদশ শতাব্দী। স্থানের বৃত্ত বিশাল বরেন্দ্রভূমি। তারই দু্ই ধর্ম-সম্প্রদায়-পাল রাজা আর সাধারণ কৈবর্তরা মুখোমুখি। দ্বন্দ্ব -সংঘাতে পরস্পর সংক্ষুব্ধ। রাজ্যশাসনভার কার করতলগত হবে-শূদ্রদের, না বৌদ্ধদের? ঘটনার এই জটাজালে জড়িয়ে পড়ল কথিত ছোটজাতের কৈবর্তরা। ঘোরতর যুদ্ধে মুখোমুখি হলেন পালরাজা রামপাল আর কৈবর্তরাজ ভীম। রামপালের সহায় চৌদ্দ জন সামন্ত। আর ভীমের সহায় তার পালকপুত্র চণ্ডক। তার শরীরে বহমান বৌদ্ধ রক্ত। তার জন্মসূত্র রহস্যজালে ঘেরা। চণ্ডক গভীরভাবে মগ্ন বারবণিতা মোহনার রূপসৌন্দর্যে। তার অপার রূপ-যৌবন চণ্ডকের কাছে দুর্বার আকর্ষণের মতো। অথচ সেই মোহনার হাতেই অন্তিমে তার যে পরিণতি, পাঠককে নিঃসন্দেহে তা উদ্বেল ও উৎকণ্ঠ করবে। বস্তুত, মোহনা পাল রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কৈবর্ত-গণতন্ত্রের সংঘাতের কাহিনিমাত্র নয়, এক গভীর মানবিক আখ্যানেরও আধার। দিব্যেক, ভীম, শার্বদেব, কঙ্কণদেব, রামপাল,মথনদেব ও চণ্ডককে ঘিরে এই উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হলেও এর কেন্দ্রে মোহনীয় মোহনা।

Guaranteed Checkout
Image Checkout
Book Author

Format

Publication

Page Count

128

ISBN

9789849019398

Published Year

,

About Author

প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হরিশংকর জলদাস ১৯৫৫ সালের ১২ই অক্টোবর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তর পতেঙ্গা গ্রামের এক জেলে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন. তার বাবা যুধিষ্ঠির জলদাস পেশায় ছিলেন একজন জেলে. ফলে আর্থিক অভাব অনটন আর অর্থনৈতিক টানাপোড়েনই ছিল হরিশংকরের বেড়ে ওঠার সঙ্গী. হরিশংকর জলদাসের শৈশব-কৈশোর কাটে পতেঙ্গার কৈবর্তপাড়ায়. তার বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে জেলের জীবনযুদ্ধে না জড়িয়ে শিক্ষিত করবেন যেন ছেলে সম্মানের জীবনযাপন করতে পারে. হরিশংকরের প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয় দেবেন্দ্রলাল দে’র আদাবস্যার নামের এক পাঠশালায়. প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে তিনি ভর্তি হন পতেঙ্গা বোর্ড প্রাইমারি স্কুলে. ১৯৭১ সালে পতেঙ্গা হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন. চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করে বাবার স্বপ্ন পূরণে আরো একধাপ এগিয়ে যান হরিশংকর. 'জাইল্যা' ঘরের সন্তান বলে তাকে বিভিন্ন সময়ে অপমানিত হতে হয়েছে, শুনতে হয়েছে ‘জাওলার ছাওয়াল’ কটুক্তি. সেই কথার উচিত জবাব দিতে তিনি ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ‘নদীভিত্তিক বাংলা উপন্যাস ও কৈবর্ত জনজীবন’ বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন. এখানে তিনি জেলেদের জীবনের সকল আনন্দ-বেদনা, উৎপত্তি-বিকাশ, তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবন ইত্যাদি তুলে ধরেন. পেশাগত জীবনে হরিশংকর জলদাস চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান. কিন্তু কর্মজীবনের শুরুতে অভাবের দিনগুলোতে তিনি দিনে শিক্ষকতা এবং রাতে বাবার সাথে সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতেন. ৪৭ বছর বয়সে তিনি তার প্রথম উপন্যাস ‘জলপুত্র’ লেখেন. এরপর, ক্রমাগত বাজারে আসতে থাকে হরিশংকর জলদাসের নতুন বই. হরিশংকর জলদাসের বইগুলোতে সবসময়ই উঠে এসেছে নিপীড়িত, প্রান্তিক এবং নিচুতলার মানুষের কথা. হরিশংকর জলদাসের উপন্যাসসমগ্র সমৃদ্ধ হয়েছে ‘আমি মৃণালিনী নই’, ‘হৃদয়নদী, ‘রামগোলাম’, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ইত্যাদি চমৎকার উপন্যাসের মাধ্যমে. হরিশংকর জলদাসের ছোটগল্প ‘লুচ্চা’, ‘জলদাসীর গল্প’, ‘মাকাল লতা’ প্রভৃতিও পাঠকপ্রিয়. এছাড়া দুটি আত্মজীবনী রচনা করেছেন তিনি. ‘কসবি’, ‘দহনকাল’, ‘জলপুত্র’ হরিশংকর জলদাস এর সেরা বই. মধ্যবয়সে লেখা শুরু করলেও সাহিত্যকর্মে নতুন মাত্রা যোগ করায় তিনি বহু পুরস্কার অর্জন করেছেন. ২০১১ সালে ‘প্রথম আলো বর্ষসেরা পুরস্কার’ (দহনকাল), ২০১৩ সালে ‘আলাওল সাহিত্য পুরস্কার’ (জলপুত্র), ‘ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার’ (প্রতিদ্বন্দ্বী), ‘বাংলা অ্যাকাডেমি পুরষ্কার’, ‘সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার’ সহ ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে তিনি পেয়েছেন ‘একুশে পদক’.

Language

Reviews

There are no reviews yet.

Recently Viewed Products