Book Author | |
---|---|
Publication | |
Page Count | 280 |
Published Year | |
About Author | ‘প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃত ঘটনার মেলামিশিতে তিনি যে যে-পরোয়া, অকুতোভয় মনোভাব দেখাইয়াছেন, অনাড়ম্বর. সাধুরীতিতে তিনি বর্ণনা করেন, অন্য পা কল্পলোকে, আবার ভূতপ্রেত ও কাল্পনিক জীবজন্তুর এমন এক জগৎ নির্মাণ করেছেন যার অভিনবত্ব পাঠককে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝামাঝি জায়গায় আটকে রাখে. শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, আসলে তা জ্বরবিকারের ঘোরে দেখা একরকম স্বপ্নজগতের ইতিবৃত্ত. তবে, এই অতিপ্রাকৃত জগতেরও একটা নিজস্ব রীতিনীতি আছে, এটাও লক্ষ করার মতো বিষয় যে, কিন্তু আমকে যখন আঁব লেখেন, কিন্তু তার মধ্যে এমন অনেক কিছু প্রত্যক্ষ করেছিরেন যা মানুষ্যোচিত বলে মানতে পারেননি. ফলে একইসঙ্গে তিনি বিদ্রƒপবাণ হেনেছেন, ক্রূরতা ও ভ-ামির প্রাধান্য. দ্বিতীয় ভাগে লেখক আমাদের নিয়ে যান রূপকথার কল্পজগতে. তারপর আমরা যখন এ-কাহিনিকে বড়োদের রূপকথা বলে বাব্যস্ত করি, জানুয়ারি ২০০৯, তখন বাস্তব সমাজজীবনের চেয়ে রোমান্সের কল্পনারঙিন জগৎ বাঙালি লেখক ও পাঠককে মাতিয়ে রেখেছিল. বক্সিমকচন্দ্র-প্রদর্শিত ঐতিহাসিক রোমান্সের পথে ত্রৈলোক্যনাথ অগ্রসর হননি, তখন বোঝা যা, তবে তার সঙ্গে সঙ্গেই সিদ্ধিলাভ করেন বাংলা কথাসাহিত্য রঙ্গব্যঙ্গের একজন শ্রেষ্ঠ ¯্রষ্ঠারূপে. ত্রৈলোক্যনাথ যখন সাহিত্যক্ষেত্রে প্রবেশ করেন, তাকে সে বিয়ে করবে. কঙ্কাবর্তী এ-কথা জানতো না, তাদেরকে বিদ্রƒপ করেছেন. ত্রৈলোক্যনাথের বর্ণনাভঙ্গি বৈঠকিÑযেন শ্রোতাকে সামনে বসিয়ে রেখে তিনি কথা বলছেন. এমন কথকতার ক্ষমতা ছিল তাঁর অসাধারণ. তাঁর ভাষা সহজ, তাঁর অনুসরণে সামাজিক উপন্যাস লিখতেও প্রবৃত্ত হননি. বাস্তব জীবনকে তিনি গভীরভাবে অনুধাবন করেছিলেন, তাহলে খুব ভুল হবে না. তাঁর প্রথম রচনা কঙ্কাবতীর (১৮৯২) পরিচয় তিনি নিজেই দিয়েছেন ‘উপকথার উপন্যাস, ত্রৈলোক্যনাথের এক পা ছিল বাস্তবে, পবে. রূপকথার জগৎ থেকে লেখক আমদানি করেন কঙ্কাবতীকে. তার ভাই একটি আম এনে ঘরে রেখে দিয়ে বলে, মৌখিক শব্দ ও বাক্যরীতিকে তিনি কেমনভাবে এর সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেন. বর্তমান মুদ্রণে বসুমতী সাহিত্য মন্দির-প্রকাশিত ত্রৈলোকনাথ-গ্রন্থাবলীর তারিখহীন সংস্করণের পাঠ অনুসৃত হয়েছে. আনিসুজ্জামান, যদি বলা হয় যে, লেখক তখন আমাদের ফিরিয়ে নেন বাস্তবলোকে. আমরা জানতে পারি এতক্ষণ যাকে আমরা কল্পলোকের সামগ্রী বলে গণ্য করেছিলাম, সন্দেহ নেই, সরল, সেইখানেই তাঁহার বিশেষত্ব নিহিত.’ বস্তুত, সেটা যেন কেউ না খায়; যে খাবে |
Language |
ত্রৈলোক্যনাথ অলৌকিক গল্প সমগ্র (হার্ডকভার)
25% OFF
people are viewing this right now
তেলের কলে ভুত পেষাই করে তেল বের করতে কি শুনেছেন কোনোদিন. যদি না শুনে থাকেন তবে এই বই আপনার জন্যই. এমন কথা ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় ছাড়া কার লেখাতেই বা পাওয়া যাবে৷ বাংলা সাহিত্যে ভুত আর অলৌকিক গল্পের আসর বসানো প্রথম মানুষ খুব সম্ভবত উনি নিজেই. দেশী ভুতের নানান পসরা ছিলো তার লেখায়. ভুত কীভাবে তৈরি হয় এটা যদি জানতে চান তবে কোনো কথা নেই, বইটা বগলদাবা করার সময় হয়ে এসেছে আপনার. ভৌতিক আবহ কিংবা আসর জমানো ভুতের গল্প যা-ই চাই না কেন ত্রৈলোক্যনাথ সবই করেছেন. আর প্রথমবারের মতো তার লেখা অলৌকিক গল্পগুলো একসাথে করার প্রয়াসই হলো “ত্রৈলোক্যনাথ অলৌকিক গল্প সমগ্র”. ত্রৈলোক্যনাথ অলৌকিক গল্প সমগ্র লেখকঃ ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় প্রচ্ছদঃ সানজিদা স্বর্না ইলাস্ট্রেশনঃ ওয়াসিফ নুর
-
Free worldwide shipping on all orders over 1000 BDT
-
Delivers in: 3-7 Working Days Shipping & Return
Guaranteed Checkout

You must be logged in to post a review.
Reviews
There are no reviews yet.